রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কল্পনা কাব্য থেকে ‘জুতা আবিষ্কার' কবিতাটি সংকলন করা হয়েছে। ধুলাবালি থেকে রাজার পা দুটিকে মুক্ত রাখার নানা প্রসঙ্গই কবিতাটির মূল উপজীব্য । রাজা তাঁর মন্ত্রীদের রাজ্য থেকে ধুলাবালি দূর করার নির্দেশ দেন। মন্ত্রীরা রাজ্যের ধুলাবালি ঝাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন এবং এতে রাজ্য ধুলোয় পরিপূর্ণ হয়ে যায় । রাজার আদেশ মানতে গিয়ে রাজ্যের সভাসদ কোনো উপায় যেন খুঁজে আর পান না। অবশেষে রাজ্যেরই এক বয়স্ক চর্মকার নিজ বুদ্ধিতে রাজার পদযুগল চামড়া দিয়ে ঢেকে দেয়। এভাবে রাজার পা ধুলার স্পর্শ থেকে মুক্তি পায়। সাধারণ সমস্যার সমাধান সাধারণ বুদ্ধিতেই করতে হয়। জটিলভাবে করতে গেলে বিড়ম্বনাই বাড়ে। সমস্যা সমাধানে পদস্থ জনই যে অনিবার্য তাও নয়। সাধারণের দ্বারাও অসাধারণ কৃত্য সম্পাদিত হতে পারে । কবিতায় তাই মূর্ত হয়ে উঠেছে।
আরও দেখুন...